Thursday, February 9, 2017

BIRAL

নিমাই: কী হে অসীম বাড়িতে যে বিড়ালের উৎপাত হয়েছে, তা মিটেছে?
অসীম: আর বোলো না, যতবার দূরে কোথাও ছেড়ে আসি, প্রতিবারই ঠিক বাড়ি ফিরে চলে আসে। শেষে একদিন একটা রিক্সা করে বিড়ালটা কে বস্তায় পুরে দু-তিন ঘন্টা ধরে এ গলি, সে গলি এ রাস্তা সে রাস্তা ঘুরে এমন একটা জায়গায় ছাড়লাম, যে আমিই রাস্তা গুলিয়ে ফেললাম।
নিমাই: শেষ অব্দি ফিরলে কী করে?
অসীম: কেন, বেড়াল টার পিছন পিছন!

MURGI

খদ্দের খেতে খেতে হোটেল মালিককে - "বা! মুরগির মাংসটাতো বেশ নরম আর সুস্বাদু।"
হোটেল মালিক - "হবেনা কেন স্যার, পোষা মুর্গি, আর যা খাওয়াই - কাজু, কিসমিস, প্রোটিনেক্স... "
"কি ? মুর্গিকে কাজু কিসমিস? ব্ল্যাক মানি রাখার আর জায়গা পাচ্ছেননা বুঝি? দেখি আপনার সব হিসাবের খাতা পত্তর।"
খদ্দের মুর্গির দাম তো দিলোইনা, উল্টে দু হাজার টাকা পকেটে পুরে চলে গেল। খদ্দের ছিল ইনকাম ট্যাক্স অফিসার
কদিন বাদে আরেকজনও মুরগি খেয়ে খুব খুশি, "বা! পোষা মুরগি বুঝি? তা কি খাওয়ান এদেরকে?"
হোটেল মালিক সাবধান হয়ে গেছেন, "আজ্ঞে, ভালো কিছু তো আর খাওয়াতে পারিনা, ওই পোকামাকড়, আরশোলা এসবই খাওয়াই।"
"কি? মুরগিকে পোকামাকড় খাওয়ান? জানেন আমি Prevention of cruelty to eatable birdsএর প্রেসিডেন্ট। মানেকা গান্ধীকে জানালে আপনার ভিটেয় মুরগির বদলে ঘুঘু চড়বে।"
এবার আরো দু হাজার টাকা গেল।
কদিন বাদে আরেক খদ্দেরের প্রশ্নে হোটেল মালিকের সোজা সাপ্টা জবাব, "একদম বলতে পারবোনা স্যার। সকালে প্রত্যেক মুরগির হাতে পাঁচ টাকা করে দিয়ে দিই। কে কি কিনে খায় জানিনা।"

Sunday, October 11, 2015

কাজের মেয়েঃ বৌদি এই নিন আপনার
শাড়ি।
এই শাড়ি আমি আর পরব না।
..
বৌদিঃ কেন পরবে না..? শাড়িটা অনেক
দামি,
আর বেশীদিন হয়নি শাড়িটা আমি পরেছি।
..
কাজের মেয়েঃ ব্যাপারটা সেটা না।
..
বৌদিঃ ব্যাপারটা তাহলে কি..?
..
কাজের মেয়েঃ আপনার এই শাড়ি পরে
কাজ করছিলাম।
দাদা আমাকে আপনি মনে করে,
আমার ধারে কাছে ঘেঁষলই না একদম।
..
বৌদিঃ কি.. এত বড় কথা..? বেড়িয়ে যা...
..
কাজের মেয়েঃ আরে দাঁড়ান, কথাত এখনও
শেষই হয় নি।
আমি যখন এই শাড়ি পরে কাজ করছিলাম,
আপনাদের গাড়ির ড্রাইভার আমাকে
আপনি মনে করে জাপটাই ধরেছিল।
....
বৌদিঃ (থতমত খেয়ে) আচ্ছা ঠিক আছে,
কাল তোমাকে আমি নতুন শাড়ি কিনে
দেব, কেমন..

Friday, October 9, 2015

একদিন লালু প্রসাদ যাদব মারা গেল....
প্রত্যাশিত ভাবেই যথারীতি তার জায়গা হল নরকে। লালু গিয়ে
দেখল যমদূত তার জন্য অপেক্ষা করছিল.....
যমদূত লালুকে বলল - তুমি আমার লিস্টে আছো, থাকতে তো
তোমাকে এখানে হবেই, কিন্তু সমস্যা হল তোমার থাকার মত কোন ঘর এই মুহূর্তে খালি নেই !!!!
কিন্তু তিন জন এ রকম আছে যারা তোমার থেকে কম পাপি ... তাদের মধ্যে একজনকে ছেড়ে দেব, তাহলে তোমার জায়গা হয়ে যাবে ...
তুমি পছন্দ কর কোনটা তোমার পক্ষে ভাল ...
প্রথম ঘরের দরজা খুলল যমদূত।
দেখা গেল সেখানে একটা বড় বাথ টব রাখা আছে, যাতে আছে ফুটন্ত গরম জল। সনিয়া গান্ধী সেই টবে লাফাছে,আবার উঠে আসছে, আবার লাফাচ্ছে....
লালু দেখে বলল - পারব না , আমার কোমরে ব্যাথা !!!!
দ্বিতীয় ঘরের দরজা খুলল যমদূত। দেখা গেল সেখানে পাথর ভর্তি !!! আর একটা বিশাল হাতুড়ি দিয়ে সেই পাথর ভাঙছে মুলায়ম সিং যাদব !!!
লালু দেখে বলল - পারব না , আমার কাঁধে ব্যাথা !!!!
তৃতীয় ঘরের দরজা খুলল যমদূত। দেখা গেল সেখানে একটা খাট।
তাতে রয়েছে শরদ পাওয়ার এবং সানি লিওন !!!
এবং সানি লিওন সেই কাজই করছে যার জন্য সে বলিউডে আসার আগে থেকেই বিখ্যাত !!!!
লালু দেখে বলল - হ্যাঁ , হ্যাঁ , এটা তো আমি খুব ভাল পারব !!!!
শুনে যমদূত খুব জোরে জোরে হাঁসতে লাগল !!!
তারপর হাসি থামিয়ে যমদূত যা বলল তাতে লালু বেহুঁশ !!!
যমদূত বলল - সানি লিওন,
যাও আজ থেকে তোমার ছুটি !!! তোমার বদলে নতুন লোক এসে গেছে !!!